খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান

0
6

খাগড়াছড়ি হলো বাংলাদেশের এমন একটি জেলা যা দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে অবস্থিত। বাংলাদেশের তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল গঠিত এর মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। খাগড়াছড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এ জেলার পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, জলপ্রপাত, প্রভৃতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশি-বিদেশি পর্য টকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

আলুটিলা

আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় পর্যটনকেন্দ্র; যা আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র নামে পরিচিত। এটি খাগড়াছড়ি সদর থেকে ৮ কি.মি. পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার ফুট উঁচু এই পর্বতটি একটি অন্যতম ব্যাতিক্রমী পর্যটনকেন্দ্র। খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বত। আলুটিলা থেকে সম্পূর্ণ খাগড়াছড়ি শহর দেখা যায়। আলুটিলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে আলুটিলা রহস্যময় গুহা। গুহাটিকে আলুটিলা রহস্যময় গুহাও বলা হয়। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকর।

তৈদুছড়া ঝর্ণা

তৈদুছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। ত্রিপুরা ভাষায় তৈদু মানে হল পানির দরজা এবং ছড়া মানে ঝর্ণা। পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য ধাপ বিশিষ্ট এই ঝর্ণাটি ৩০০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের এই ধাপ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ার এই দৃশ্য তৈদুছড়া ঝর্ণাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ফলে খাগড়াছড়িতে যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তৈদুছড়া তাদের মধ্যে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পাহাড়ের ভাঁজ দিয়ে বয়ে চলে তৈদুছড়া ঝর্ণার শীতল স্বচ্ছ টলমলে জলের কলকল করে ছুটে চলার শব্দে মুখিরত হয় চারপাশ।

রিসাং ঝর্ণা

রিসাং ঝর্ণা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা। রিসাং ঝর্ণা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জলপ্রপাতের জন্য প্রশিদ্ধ। রিসাং ঝর্ণা পাহাড়িতে থাকা নদী থেকে পানির ঝর্ণারূপে সৃষ্টি পায়। রিসাং ঝর্ণার জলপ্রপাত দেখতে আকর্ষণীয় এবং এখানে পর্যটকদের অনেক আকর্ষণীয় ফল সরবরাহ করে। রিসাং ঝর্ণায় ভ্রমণ করে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং শান্তির মধ্যে সময় পাশ করতে পারেন।

মাতাই পুখিরি

মাতাই পুখিরি বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার একটি খুবই প্রশিদ্ধ পর্বতীয় পর্যটন স্থান। এটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মাতাই পুখিরি নিকটবর্তী পর্বতের শৃঙ্গ থেকে প্রবাহিত হয় এবং এটি একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।

মাতাই পুখিরির বিশাল জলপ্রপাত একটি আকর্ষণীয় দৃশ্য সৃষ্টি করে। ঝর্ণার জলপ্রপাতের উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুটে পৌঁছে থাকে। এটি পানির ভেলা এবং প্রবাহের কারণে সময়ের সাথে বিভিন্ন রং ধারণ করে এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফল সৃষ্টি করে। মাতাই পুখিরির আশেপাশে প্রাকৃতিক উপভোগ করতে পারেন এবং জলপ্রপাতের মধ্যে ঘুরতে পারেন।

মাতাই পুখিরি একটি পর্বতীয় পর্যটন স্থান হিসাবে অপরিসীম। এখানে পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্তিময় পরিবেশ এবং আদিবাসী সংস্কৃতির আদর্শ উপভোগ করতে পারেন।

নিউজিল্যান্ড পাড়া

নিউজিল্যান্ড পার্থক্য দ্বীপপুঞ্জের অংশগ্রহণ করে, যা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণের অংশে অবস্থিত। এটি প্রধানত দুইটি মুখ্য দ্বীপে বিভক্ত হয়ে থাকে – উত্তরীয় দ্বীপ এবং দক্ষিণীয় দ্বীপ। নিউজিল্যান্ড পার্থক্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অদ্বিতীয় অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। নিউজিল্যান্ড পার্থক্যে পাহাড়, পর্বত, নদী, ঝর্ণা এবং জলপ্রপাত এমনকি গ্লেশিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। এখানে প্রাকৃতিক উপভোগ স্থানগুলো উল্লেখযোগ্য, যেমন ফিয়রল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক, মিলফর্ড সাউন্ড, টেকাপো ঝর্ণা, ইয়ান্গারি ঝর্ণা, ক্রেজি হিউট, এমট কুক, মাউন্ট কুক এবং বেয়ার্স লাট সহ অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে।

নিউজিল্যান্ড পার্থক্যে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর সংখ্যক জন্যই এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন গন্তব্য। অদ্বিতীয় পরিবেশ এবং বিপণিত জীববৈচিত্র্য দেখতে পর্যটকদের আকর্ষণ করে এবং প্রাকৃতিক জীবন ও বন্যজীবী প্রজাতির সংজ্ঞায়িত একটি দৃশ্য সৃষ্টি করে। নিউজিল্যান্ড পার্থক্যের বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অদ্বিতীয় পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক জীবনের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে এই অঞ্চল ভ্রমণ করা যেতে পারে।

মায়াবিনী লেক

মায়াবিনী লেক বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি অপূর্ব স্বাভাবিক লেক। এটি বাগানবাড়িতে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক লেক। মায়াবিনী লেক বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ভান্ডারিয়া জেলার মধ্যে অবস্থিত।

মায়াবিনী লেক একটি সুন্দর জলাশয় যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্তিময় পরিবেশ এবং প্রকৃতির আনন্দ একসাথে মিশে আছে। এটি সুতারঙ্গ, স্বপ্নময় পানির উপর বস্ত্রিত হয়ে থাকে। মায়াবিনী লেকের জলস্তরে অনেক প্রকার জলপ্রপাত এবং অপূর্ব পানিপথ রয়েছে। এটি প্রকৃতির আদর্শ উপভোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। মায়াবিনী লেক বিশ্বব্যাপী অপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্থলের মধ্যে গন্তব্য হিসাবে পরিচিত। এখানে পর্যটকদের অনেক সুযোগ রয়েছে প্রাকৃতিক উপভোগের জন্য এবং নীলকন্ঠ হাইল্যান্ডস, সুন্দরবন হোটেল, বাগানবাড়ি জমিদারবাড়ি ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রে থাকা অনেক বিছানামূল্যে হোটেল ও রিসোর্টে বসবাসের সুযোগ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here