পাইকগাছা উপজেলার দর্শনীয় স্থান

0
135
পি সি রায়ের বাড়ি
পি সি রায়ের বাড়ি

খুলনা জেলার একটি প্রচীন ও প্রসিদ্ধ উপজেলা পাইকগাছা। খুলনা জেলা সদর হতে পাইকগাছা উপজেলা ৬৫ কি. মি. দক্ষিনে অবস্থিত। পাইকগাছা উপজেলার আয়তন ৩৮৩.১৫ বর্গ কিঃ মিঃ। ইহা ২২২৮’’ এবং ২২৪৩’’ উত্তর-দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশ এবং ৮৯১৪’’এবং ৮৯২৮’’ পূর্ব পশ্চিম দ্রাঘিমার মধ্যে পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত। খুলনা জেলা শহর হতে সড়ক পথে পাইকগাছা উপজেলার দুরত্ব ৬৫ কি.মি.।

১. স্যার পি. সি. রায় এর বাড়ী

বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল­ চন্দ্র রায়(পি,সি,রায়) ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদেরতীরবর্তী রাড়ুলীতে জন্ম গ্রহণ করেন। রসায়ন শাস্ত্রেগবেষনারত প্রফুল­ চন্দ্র মারকুইরাস নাইট্রাইট-এর মত রসায়ন শাস্ত্রে মৌলিকপদার্থ উদ্ভাবন করার মাধ্যমে চমকে দেন বিশ্বকে। পি.সি রায় ছিলেন একাধারেবিজ্ঞানী, দার্শনীক ও শিল্পী। বিশ্ব বরেণ্য এ বিজ্ঞানীরবসত বাড়িকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে দেশ-বিদেশের অসংখ্যপি.সি রায় প্রেমী বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে।

পিসি রায়ের বাড়ি, পাইকগাছা

কিভাবে যাওয়া যায়:

পাইকগাছা উপজেলা হইতে ভ্যান, ইন্জিন ভ্যান এবং মটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।পাইকগাছা উপজেলা সদর হইতে স্যার পি, সি রায় সাহেব এর বিড়ীর দুরত্ব ১৩/১৪ কিঃমিঃ।

২. সরল খাঁ দিঘি

ইতিহাসে কিংবদন্তী হয়ে আছে অষ্টাদশ শতাব্দীতে বার ভূইয়াদের আমলে সরল খাঁ নামে এক বিখ্যাত জমিদার পাইকগাছা থানার মধ্যে বসবাস করতেন। সরল দীঘিটি ষোল বিঘা জমির উপর। সরল খাঁ খানজাহান আলীর শিষ্যবর্গের একজন। এ অঞ্চলের মানুষের পানির কষ্ট নিবারনের জন্য সরল খাঁ তাঁর দলবল নিয়ে এটি খনন করেন। সেই থেকেই এটা সরল খাঁর দীঘি নামে পরিচিত।

সরল খা দিঘি, পাইকগাছা

কিভাবে যাওয়া যায়: খুলনা পাইকগাছা সড়কের একদম গাঁ ঘেষে এটি অবস্থিত।উপজেলা হইতে ভ্যান, ইন্জিন ভ্যান এবং মটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।পাইকগাছা উপজেলা সদর হইতে সরল খাঁ দীঘির দুরত্ব ৩ কিঃমিঃ।

৩. মৎস্য গবেষণা ও লোনা পানি কেন্দ্র

দক্ষিণ বাংলার একমাত্র মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট পাইকগাছায় অবস্থিত। এর অপর নাম পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্র। এটাকে আবার মিনি পর্যটন কেন্দ্র বললেও অত্তুক্তি হয়না। নয়না ভিরাম পরিবেশে ৮৬ একর এলাকা যুড়ে বিস্তৃত এই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের অনেক পিকনিক স্পটের চেয়ে কোন অংশে কম নয় এর বৈচিত্র। এখানে আপনি যতক্ষণ থাকবেন যাদুর ছোয়ার মত আবেগাচ্ছন্ন হয়ে থাকবেন। এখানকার নির্মল বাতাস আপনাকে উতলা করে তুলবে। কর্মব্যাস্ত জীবনে একটু শান্তির পরষ পাওয়া যায় এখানে এসে।

৪. পীর জাফর আউলিয়ার মাজার

কপিলমুনির কেন্দ্রস্থলে পীর জাফর আউলিয়ার মাজার অবস্থিত। এই মাজারে প্রতিদিন শতশত লোকের সমাবেশ হয়। বিভিন্ন ধর্মের লোক এখানে মিলিত হয়। সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী এই মাজরের প্রথম সংস্কারক। এর পরে উপজেলা পরিষদের বিশেষ অনুদানের মাধ্যমে মাজারটির শ্রীবৃদ্ধি করা হয়।

কিভাবে যাওয়া যায়: উপজেলা হতে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দুরে বিখ্যাত বাজার কপিলমুনিতে এটি অবস্থিত।বাস, ভ্যান, ইজিবাইক এবং মোটর সাইকেলযোগে যেতে পারবেন।

৫. রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর আবাস স্থান

রায়সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু ১২৯৬ বঙ্গাব্দের ২৬ বৈশাখ শুক্লাষ্টমী তিথিতে জম্নগ্রহন করেন।তিনি বিনোদ ভবনে বড় হয়ে ওঠেন  পিতা – যাদব চন্দ্র সাধু,মাতা- সহচরী দেবী কোলে । কপিলমুনি মহাভারতের  মুনি কপিলের নামে নামকরণকৃত একটি ছোট জনপদ। তিনি ছোট বেলায় পিতাকে হারিয়ে তিনি পড়ালেখা ছেড়েছিলেন মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে। পিতৃদত্ত ব্যবসায়িক জ্ঞান ও স্যার পি সি রায় এর পরামর্শে তিনি ব্যবসা আরম্ভ করেন।

রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর আবাস স্থান, কপিলমুনি, পাইকগাছা

কিভাবে যাওয়া যায়:

উপজেলা হতে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দুরে বিখ্যাত বাজার কপিলমুনিতে এটি অবস্থিত।বাস, ভ্যান, ইজিবাইক এবং মোটর সাইকেলযোগে যেতে পারবেন।

৬. কপিলেশ্বরী কালী মন্দির

কপিলমুনি কালী বাড়ী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক পবিত্র স্থান। রায়সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু স্থাপিত ১৩৩৬ সাল বর্তমান কালী মন্দির স্থাপন করেন।

কিভাবে যাওয়া যায়:

উপজেলা হতে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দুরে বিখ্যাত বাজার কপিলমুনিতে এটি অবস্থিত।যেকোন ভাবে এখানে যেতে পারবেন।

বিশেষ সতর্কতা

 হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। একারণে কোন স্থানে ভ্রমণের পূর্বে বর্তমান ভাড়া ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। ওয়েবসাইটে যোগাযোগের সুবিধার্থে প্রদত্ত নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য চলো ঘুরি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here