কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক

0
52
কলাগাছিয়া-ইকোট্যুরিজম
কলাগাছিয়া-ইকোট্যুরিজম

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনার আওতাধীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ি ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র এক অনাবিল নৈসর্গিক দৃশ্য বুকে লালন করে আছে। সম্প্রতি এই স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এরপর থেকেই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সুন্দরবনের সবুজের সমারোহের মাঝে বন্য প্রাণীর বিচরণ দেখার জন্য ছুটে আসে কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে।

কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম
কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র

কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটির একদিকে লোকালয় ও আরেক পাশে সুন্দরবন, আর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খোলপেটুয়া নদী। বন পেরিয়ে নদী পথে খাল পার হয়ে কলাগাছিয়া যেতে হয়। লোকালয় পার হয়ে সুন্দরবনের পশ্চিম বনের ভিতর দিয়ে কলাগাছিয়া যাওয়ার সময় দুই ধারের সারি সারি বন মুগ্ধ করে। লোকালয় থেকে বেশ দূরে অবস্থিত বলে এখানে শুনশান নিস্তব্ধতায় ছেয়ে থাকে চারপাশ। তবে সব নীরবতা ভেঙে বানরের ডাক আর ভেঙচি কাটা, মায়াজড়ানো মায়াবী হরিণ দেখা যায়। এখানে রয়েছে ৫ তলা ওয়াচ টাওয়ার যেখান থেকে সহজে  সুন্দরবনের সবুজ অরণ্য জুড়ে ঢেকে থাকা সুন্দরি, গেওয়া, গরাণ, কেওড়া, পশুর, বাইন, কাঁকড়া ও গোলপাতাসহ মোট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ। 

ইকোট্যুরিজম ঘাটে ট্রলার ভিড়লেই অসংখ্য বানরের দেখা মিলে। মূল অংশে ঢোকার পথে আছে লোহার তৈরি একটি ব্রিজ। এই ব্রিজ পার হলে একটি রেস্ট হাউজ ও কাঠের  তৈরি আরেকটি ব্রিজ নজরে আসে। কাঠের সেতুর দুই পাশে আছে খলিশা, হরকোচা ও বাইন গাছের সারি। আর বনের ভিতরে আছে বানর ও হরিণের দল। ওয়াকওয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে পাঁচতলা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখির চোখে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এখানে বনের ভিতরের শিব মন্দিরে বনবিবির পূজা করা হয়। অনেকের বিশ্বাস মন্দিরে দর্শন দিয়ে বনের ভেতরে গেলে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কিভাবে যাবেন

সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে যেতে হলে প্রথমে সাতক্ষীরা জেলায় আসতে হবে। ঢাকা থেকে সোহাগ কিংবা হানিফ পরিবহনের বাসে সাতক্ষীরা যেতে পারবেন। বাস ভাড়া সিটের মানভেদে নন এসি –  ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, এসি –  ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অথবা নীলডুমুর ঘাট থেকে ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে হয়। নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। ২০-২৫ জনের একটি ট্রলারের ভাড়া ৮০০-১২০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

সাতক্ষীরার উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টের মধ্যে টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউজ, বর্ষা রিসোর্ট, সুন্দরবন হোটেল, হোটেল সৌদিয়া, হোটেল সোনার বাংলা, উৎসব বাগান, রূপসী বাংলা লজ ও আকাশলীনা রিসোর্ট অন্যতম।

কোথায় খাবেন

সাতক্ষীরা শহরে সোনারগাঁও হোটেল, পানসি রেস্টুরেন্ট, লেক ভিউ ক্যাফে রেস্তোরাঁর মতো বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

বিশেষ সতর্কতা

 হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। একারণে কোন স্থানে ভ্রমণের পূর্বে বর্তমান ভাড়া ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। ওয়েবসাইটে যোগাযোগের সুবিধার্থে প্রদত্ত নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য চলো ঘুরি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here