কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট

0
3
কাজী-এন্ড-কাজী-টি-এস্টেট

তেঁতুলিয়া উপজেলার ৮ থেকে ১০ কি. মি. দূরে শালবাহান ইউনিয়ের রওশনপুর এলাকায় সুনিবিড় পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে মনোরম অবকাশ যাপন কেন্দ্র যা কাজী ‍এন্ড কাজী টি এস্টেট নামে পরিচিত। মূলত বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশে গড়ে তোলা হয়েছে এই অবকাশ কেন্দ্রটি। তবে এর অসাধারণ সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক আবহ দেশ ও বিদেশের সৌন্দর্যপিপাসু মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অত্যন্ত সুনিপুণ ও পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা কাজী এস্টেট যেকোন মানুষের হৃদয়কে মুহুর্তে আকৃষ্ট করবে। এর প্রতিটি জায়গা এতই মনোমুগ্ধকর যে দর্শনার্থীদের কাছে মনে হবে যে ছবি উঠাবো নাকি চোখ দিয়ে এর অকৃত্রিম সৌন্দর্য উপভোগ করব। এই জায়গাটি এতই সুন্দর যে শহুরে মানুষদের কাছে স্বর্গরাজ্য মনে হবে।

কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট, তেঁতুলিয়া

মূলত প্রকৃতি আর আধুনিকতার ছাঁচে তৈরি করা হয় কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট। এখানে প্রকৃতি আর আধুনিক কৃত্রিমতাকে অত্যন্ত সুদক্ষ কারিগরের ন্যায় উপস্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি প্রকৃতির নৈসর্গিক পরিবেশের সাথে মানুষের আধুনিকতার সম্মিলন। মূল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় মনে হবে পুরো এলাকাটা একটা স্বর্গরাজ্য এবং সৌখিনতায় মোড়ান। সৌখিনতার বসে মানুষ কী কী করতে পারে তার এক নিদর্শন হচ্ছে কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেটের এই ব্যক্তিগত বাংলো এবং অফিস কার্যালয়ের পুরো জায়গাটি।  তাই এর অপরুপ শোভা অবলোকন করতে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে হাজারো প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকের বেড়াতে আসে।

লতাপাতায় মোড়ানো কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
লতাপাতায় মোড়ানো গেট, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
অভ্যর্থনা-কক্ষ-কাজী-এন্ড-কাজী-টি-এস্টেট
অভ্যর্থনা-কক্ষ-কাজী-এন্ড-কাজী-টি-এস্টেট

দৃষ্টিনন্দন গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকেই হাতের ডান দিকে আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে লতাপাতার ছায়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন এক প্রবেশপথ। চারিদিকে সবুজের সমারোহে হারিয়ে যখন আপনি সে পথের শেষ প্রান্তে আসবেন, তখন আধুনিক ধাঁচে গড়া কিছু দৃষ্টিনন্দন কটেজ আপনার দৃষ্টি কাড়বে। ভেতরে একটা লেকও আছে, তার পাশেই কয়েকটা কটেজ এবং লেকের ঠিক মাঝেই ব্রিজ পেরিয়ে যাওয়া যায় দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামাগারে।

লেক সাইড, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টট
লেক সাইড, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টট
বাংলোর অভ্যন্তরীণ নকশা, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
বাংলোর অভ্যন্তরীণ নকশা, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট

গাছগাছালির ভিড়ে এরকম দৃষ্টিনন্দন কটেজ আপনাকে মুগ্ধ করবে। ব্রিজ থেকে শুরু করে হাঁটার রাস্তা, লেক, বিশ্রামাগার, বাংলো, কাঠের কটেজ সবকিছুতেই আভিজাত্য আর নান্দনিকতার স্পষ্ট ছাপ পাবেন। খোলা মাঠে কিছু ঘোড়াকে দেখবেন ঘাস খেতে। ভুলেও সামনে যাবেন না, কেননা এই ঘোড়াগুলোর কামড় দেয়ার বাজে অভ্যাস আছে।

ফুলের-রাজ্য-কাজী-এন্ড-কাজী-টি-এস্টেট
ফুলের-রাজ্য-কাজী-এন্ড-কাজী-টি-এস্টেট
লেকের পাশে, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
লেকের পাশে, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
সাদা ঘোড়া, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট
সাদা ঘোড়া, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকার শ্যামলী থেকে বাসে পঞ্চগড়ে যাওয়া যায়। ভাড়া ১২০০/১৮০০টাকা। সময় লাগে ৮/৯ঘন্টা। রাত ৮-১০টার মধ্যে বাস গুলি ছেড়ে যায়। তেঁতুলিয়া থেকে ৮/১০ কি. মি. দূরে শালবাহান ইউনিয়ের রওশনপুর এলাকায় মাইক্রো/অটো ভ্যানে করে যেতে পারেন। থাকতে পারেন তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে, পিকনিক কর্ণারে।

তেঁতুলিয়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

  • বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
  • অর্গানিক চা বাগান
  • তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো

বিশেষ সতর্কতা

হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। একারণে কোন স্থানে ভ্রমণের পূর্বে বর্তমান ভাড়া ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। ওয়েবসাইটে যোগাযোগের সুবিধার্থে প্রদত্ত নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য চলো ঘুরি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here