রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দর্শনীয় স্থান

0
117

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগে অন্তর্গত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা। এর আয়তন ৩৪৭.৭২ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অবস্থিত। এর উত্তরে কাউখালি উপজেলা, দক্ষিণে বান্দরবন সদর ও চন্দনাঈশ উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলা এবং পশ্চিমে বোয়ালখালী ও রাউজান উপজেলা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উপর দিয়ে কর্ণফুলী নদী, ইছামতি নদী প্রবাহিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সদর অলংকার থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় যোগাযোগের জন্য স্থল পথে অনেক বাস, গাড়ি ও সিএনজি এর সুবিধা আছে।

শেখ রাসেল অ্যাভিয়েরী পার্ক 

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে বাস, গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাসস্ট্যান্ড হয়ে নিশ্চিন্তাপুর সেগুন বাগান এর কাছেই শেখ রাসেল অ্যাভিয়েরী পার্ক যাওয়া যায়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর বনাঞ্চলে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরতে শেখ রাসেল অ্যাভিয়েরী ইকোপার্কটি ২১০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। পার্কের প্রধান আকর্ষণ কৃত্রিম হ্রদ হয়ে সবুজ পাহাড়ে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৬টি ক্যাবল কার এর সংযোগ। লেকের পারের ষ্টেশন থেকে ক্যাবল কারে চড়ে সৃষ্টির প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে ৬নং টাওয়ারে দ্বিতীয় ষ্টেশনে অবতারণ করে পর্যাটকেরা চারদিকে ঘুরে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও পার্কে আছে লেকে আছে দ্বীপ, আর দ্বীপে যাওয়ার জন্য আছে একটি সেতু। পার্কের প্রবেশ মুখেই সারিবদ্ধ অনেকগুলো খাঁচায় আছে দেশী বিদেশী অনেক প্রজাতির পাখি। পার্কে নানা ফলজ বনজ গাছের অরণ্যের ছড়িয়া ছিটিয়ে আছে অনেক বিশ্রামের ছাউনি। এছাড়াও আছে শিশুদের খেলার জন্য পার্কে আছে অনেক খেলনা। শেখ রাসেল অ্যাভিয়েরী পার্কটি চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানের নিকটস্থ বলে এখানে থাকার জন্য অনেক ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল আছে। এখানে বেশ কিছু হোটেল আছে যেখানে পর্যাটকেরা চাইলে সুলভ মূল্যে তাদের পছন্দ মত খাবার খেতে পারেন।

কীভাবে যাবেন

চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই বাস যোগে বা যে কোন পরিবহন যোগে চন্দ্রঘোনায় নেমে সরাসরি পার্কে যাওয়া যায়।

ঠান্ডাছড়ি চা বাগান

চট্টগ্রাম রাংগামাটি মহাসড়কের রাণীরহাট বাজারের পাশেই ঠান্ডাছড়ি চা বাগান অবস্থিত। সবুজ পাহাড়, ঘূর্ণায়মান ভূখণ্ড এবং নির্মল জলাশয়ের মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে একটি চা বাগান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উজ্জীবিত করে। চকচকে চা গাছগুলি গভীর সবুজ পাতার একটি চিত্তাকর্ষক কার্পেট তৈরি করে, বাতাসে মৃদু দোল খায়। সূর্যালোক ফিল্টার করে, আলো এবং ছায়ার একটি যাদুকর খেলা নিক্ষেপ করে।

কীভাবে যাবেন

চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাসে করে রাণীরহাট অথবা সরাসরি ঠাণ্ডাছড়ি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় যাওয়া যায়। অথবা বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোডে বাস যোগে ইছাখালী অথবা রোয়াজারহাট এলাকায় নেমে সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রিজার্ভ করে পারুয়া ডিসি সড়ক হয়ে ঠাণ্ডাছড়ি চা বাগান যাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড় বা কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগেও উল্লেখিত দুই উপায়েই এ চা বাগানে যাওয়া যায়।

পারুয়া রাবার ড্যাম

পারুয়া ও হোচনাবাদ ইউনিয়নের মাঝামাঝি পারুয়া রবার ড্যাম ইছামতি নদীর উপর এর অবস্থান।

কীভাবে যাবেন

মরিয়ম নগর চৌমহনি থেকে মোগলের হাট হয়ে অথবা ঘাটচেক রাস্তার মাথা থেকে যেকোন যানবাহন যোগে পারুয়া রাবার ড্যামে যাওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here